MatiharMatihar

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from FooBar about art, design and business.

    What's Hot

    পুনর্জীবনে ফিরে ॥ নাসরীন জাহান

    মার্চ ১৪, ২০২৫

    জীবিত ও মৃত: রবীন্দ্রদৃষ্টিতে সমাজে নারীর অবস্থান ॥ জান্নাতুল যূথী

    জানুয়ারি ২১, ২০২৫

    বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ পাচ্ছেন ৭ জন

    ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
    Facebook Twitter Instagram
    MatiharMatihar
    • প্রচ্ছদ
    • প্রবন্ধ
    • উপন্যাস
    • ছোটগল্প
    • কবিতা
    • গান
    • সাক্ষাৎকার
    • সমাজচিন্তা
    • অন্যান্য
      • দুস্প্রাপ্য রচনা
      • শিশুসাহিত্য
    Facebook Twitter Instagram
    MatiharMatihar
    Home»ছোটগল্প»এক অন্যরকম ১৪ ফেব্রুয়ারি ॥ প্রিয়তু শ্যামা
    ছোটগল্প

    এক অন্যরকম ১৪ ফেব্রুয়ারি ॥ প্রিয়তু শ্যামা

    ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩
    Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest Email

    না না, কিছুতেই না, এটা আমার পক্ষে একদমই সম্ভব হবে না। রূপ, প্লিজ বুঝতে চেষ্টা করো!এখনই আমাদের মধ্যে এসব কিছু ভাবা মোটেই উচিত নয়। আমি এই মুহূর্তে এমনটা একদমই ভাবতে চাচ্ছি না। তাছাড়া রুমডেট ব্যাপারটাই জানি কেমন!আর আম্মু জানলে আমাকে মেরেই ফেলবে!রূপ দয়া করে অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করো! তাছাড়া আমার তো বেরুনোর কথা প্রাইভেটের নাম করে। তারপর অন্তরাদের বাসায় গিয়ে শাড়ি পরে তোমার সাথে বেরুবো। কাল আমরা দুজনে মিলে একসাথে কোথাও বসে না-হয় খাবোও। ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে হাত ধরাধরি করে ঘুরে বেড়াবো। দেখো অনেক ভালো সময় কাটবে আমাদের। আমি কাল নিজেকে খুব সুন্দর করে সাজাবো তোমার জন্য। তবু লক্ষ্মীটি রাগ করো না। বিশ্বাস করো, তুমি যা বললে তা আমার ভাবনাতেও আসেনি!এসব এখনই ভাবতে আছে বোকা? সামনে কত সময় পড়ে আছে দুজন দুজনকে জানার!

    তাহলে তোমার বাসা থেকে মিথ্যে বলে বের হয়ে কাজ নেই। আসতেই হবে না তোমাকে। যে আমাকে বিশ্বাস করে না,তার সাথে ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করতে আমি মোটেই ইন্টারেস্টেড নই।
    প্লিজ রূপ,এভাবে বোলো না। তুমি খুব ভালো করেই জানো, আমি তোমাকে প্রাণের অধিক ভালোবাসি।
    হতে পারে,কিন্তু বিশ্বাস তো করো না।
    তা-ও করি। শুধু তুমি বুঝতে চাইছ না। আমার এখন এসবে অসুবিধা আছে। আমি মনের দিক থেকে ঠিক এই সময়টাতে প্রস্তুত নই। তুমি আমাকে একটু সময় দাও প্লিজ।
    সময় তুমি অফুরন্তই পাবে। তবে খারাপ লাগছে, তুমি আমাকে বিশ্বাস করো না,এটা ভাবতেই।
    আমি তোমাকে বিশ্বাস করি।কিন্তু…

    যে করেই হোক পিয়াকে থামাতে হবে।ওর বাইরে যাওয়াটা যেকোনোভাবে কাল আটকে দিতেই হবে! কিন্তু কী করে?সেইসময়ই হঠাৎ আদিলের মুখটা মনের চোখে ভেসে উঠল। কেন যে ভেসে ওঠে!

    বিশ্বাস করলে সানিদের বাসায় আসাতে তোমার এত আপত্তি কেন? তাছাড়া সানির গার্ল ফ্রেন্ডও তো কাল আসছে। অনেক মজা করবো আমরা। সারাদিন একসাথে কাটাবো। কত কত প্ল্যান করা আছে আমাদের!আর সেসব ভাবতেই আমার কেমন যেন থ্রিল থ্রিল লাগছে!অদ্ভুত একটা ফিলিং! তোমাকে ঠিক বোঝাতে পারছি না। লাইক স্বপ্ন সাগরে ডুব দিচ্ছি এমন কিছু! তাছাড়া সানির গার্ল ফ্রেন্ড কিন্তু তোমার মতো এমন তালবাহানা জুড়ে দেয়নি । সে সানিকে বিশ্বাস করে এবং রিয়েল লাভ আছে ওদের মধ্যে।
    আচ্ছা রূপ,আমি দেখছি কাল কী করা যায়। তুমি প্লিজ রেগে থেকো না।
    রত্নার মাথাটা জাস্ট ভনভন করতে লাগলো!কান দিয়ে যেন গরম বাতাসের হলকা বের হচ্ছে। সে এসব কী শুনলো!
    মেয়ের ঘরে আসছিল রাতের ডিনার কখন টেবিলে দেবে তাই জানতে। কিন্তু সে এখন এটা কী জানলো! সে-ই ১৯ বছর আগের এমনই একটা দিন! মাত্র একটা দিনের ভুল! আহা রে বয়স!
    সেসব কথাগুলোই যেন ছায়াছবির মতো একের পর এক তার চোখের কোলাজে ভাসতে লাগলো। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে!যার ফসল আজকের পিয়া।

    সেই দিনটা আজও বড় বেশি দগদগে রত্নার হৃদপিঞ্জিরায়,ক্ষত যেন এতদিনে এতটুকুও শুকোয়নি। তখন রত্না কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয়েছে। দর্শনের নানান জটিল উক্তি,দার্শনিকদের অদ্ভুত অদ্ভুত নাম মাথায় একদমই ঢুকতে চাইত না।তার বদলে বন্ধু, ওদের সাথে আড্ডা,আর গানবাজনাতেই ঢাড়বেশি মনোযোগ।এমনই সময় পরিচয় হয় আলীর সাথে। সুদর্শন,চকচকে স্মার্ট তাগড়া এক যুবক ছিল আলী।ছাত্র রাজনীতির জনপ্রিয় মুখ।গান করে, নাটক করে,পুরো ইউনিভার্সিটির একেবারে মধ্যমণি।রত্না নিজেও গানের মানুষ। গানের উপরে ডিপ্লোমা শেষ করে স্থানীয় একটা কিন্ডারগার্টেনে খণ্ডকালীন সংগীত শিক্ষিকা।একদিন ইউনিভার্সিটির একটা প্রোগ্রামে ওরা যুগলে গান গাইল।অনেকগুলো গান গাইতে হয়েছিল সেইদিন ওদেরকে দর্শকদের অনুরোধে।অনুষ্ঠানের প্রায় পুরোটা সময় দুজনে মিলে অডিটোরিয়ামের সকল দর্শকদের মাতিয়ে রাখল।

    আর তারপর থেকেই ওদের মধ্যে বাঁধনটা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার হয়ে গেল। নব প্রেমের উচ্ছ্বাসে ওরা তখন পাগলপ্রায়।চোখে মনে রঙিন চশমা। সারাক্ষণই যেন দু’জন সুপারগ্লুর মতো সেঁটে আছে।স্নিগ্ধ সকাল,কী উড়নচণ্ডী দুপুর,বাদ যেত না একটা রোদ পালানো মাধবী বিকেলও।

    সম্পর্কের সাতমাসের মাথাতেই আসে ১৪-ই ফেব্রুয়ারি,ভালোবাসার এক সর্বনাশা দিন।এখন মনে হয়,আসলে সেটা ছিল ওর মরণেরই দিন।সম্পর্কের পশ্চাতে ভালোভাবে প্রবেশ করার আগেই নিজেদের ভাসিয়ে দিয়েছিল আদিম এক খেলায়, মেতে ওঠেছিল অবাধ্য প্রেমের টানে।সেই একটা দিনের উম্মাদনাই ওকে সারাটা জীবনের অভিশাপে বেঁধে ফেলল।

    সেইদিন অমন প্রেম, উর্বরতার প্রতীকী চিহ্ন লাভ বাইটগুলোকে গায়ে মেখে সুখী মনে হোস্টেলে ফিরছিল রত্না।কিন্তু পথও যে এমন কামড় বসাবে কে জানত!একেই বোধহয় বলে বিধিলিপি!রাস্তায় একটা মারাত্মক অ্যাকসিডেন্ট ঘটে যায় রত্নার।আর তাতে ওর বাম পা’টা খুব বিশ্রীভাবে ভাঙে ,ফলশ্রুতিতে ছয়মাস বিছানার সাথেই সন্ধি ঘটাতে বাধ্য হয়। চারমাস তো কেটেছে শুধু হসপিটালেই।

    রত্নার বুদ্ধিমতী মা তখনই টের পেয়ে গিয়েছিলেন তার অতি আদরে মানুষ ছোটো মেয়েটির শরীরের দৃশ্যমান কিছু কিছু পরিবর্তন এবং পরিবর্ধনকে।কিন্তু মেয়েকে সেভাবে কিছু বলেননি।শুধু আস্থার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।

    কত ওষুধপত্র, কড়া কড়া এক একটা পেইন কিলার!কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার ভ্রুণটার এতটুকুও কোনো ক্ষতি হলো না!সে পরম আয়ু নিয়ে এই পৃথিবীতে এল একদম সুস্থ শরীরে।

    এরপর অনেক কথা!অনেক ব্যথার জীবন গেছে রত্নার উপর দিয়ে। আলীর সাথে শেষ দেখা হয় রত্নাদের বাড়িতেই।রত্নার মা আলীকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন।রত্নার তখন ছয় মাসের স্পষ্ট শরীর।আর আলীর সেদিনের ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া দৃষ্টি,এই জীবনে রত্না কোনোদিন ভুলতে পারবে না,ভুলে যায়ওনি।আর সেইদিন থেকে সে কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করতে পারে না।পারে না, মনজগতে কোনো পুরুষের প্রতি ভালোবাসার বিন্দুমাত্র অমোঘ টান প্রবেশ করাতে!

    তারপর রত্নার জীবন থেকে আলীর প্রস্থান,পিয়ার অপরাজিত হয়ে জন্মলাভ,রত্নার কয়েকবারের সুইসাইডের বৃথা চেষ্টা,বড়ো বোনদের চরম অসহযোগীতা,ফাইনালি বটবৃক্ষের মৃত্যু!রত্না যেন তখন বিশাল সমুদ্রে ভাসমান…রত্নার মা-ই ছিল ওর একমাত্র আশ্রয়দাতা,পরম নির্ভরতার এক শক্ত খুঁটি।সে মা অকালে চলে গেলেন। আর বাবা তো গেছিলেন আরও অনেক আগেই।

    আর আজ এত বছর পরে সেইদিনটারই যেন পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে!আতংকে রত্না এখন সাদা হয়ে যাচ্ছে। জ্ঞান যেন দিকবিদিকশুন্য।শুধু মনে হচ্ছে,যে করেই হোক পিয়াকে এই সর্বনাশ থেকে বাঁচাতেই হবে। পিয়ার জীবনটাও অকালে তার মতো তালহীন, ছন্দহীন,বেসুরো হয়ে কাটুক তা সে ভাবতেই পারছে না। যে করেই হোক পিয়াকে থামাতে হবে।ওর বাইরে যাওয়াটা যেকোনোভাবে কাল আটকে দিতেই হবে! কিন্তু কী করে?সেইসময়ই হঠাৎ আদিলের মুখটা মনের চোখে ভেসে উঠল। কেন যে ভেসে ওঠে!

    আজ থেকে ওর জীবন সত্য দিয়ে শুরু হবে সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষদের হাত ধরে… হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে।

    গত চৌদ্দ বছর ধরে আদিলের সাথে রত্নার একটা স্বচ্ছ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।আদিল ওর গানের একাগ্র গুণগ্রাহী শ্রোতা। কিন্তু তবুও যেন কোথাও বন্ধুত্বের চেয়ে বেশি কিছু…যদিও তা কারোর কাছে স্পষ্ট না,প্রকাশিতও না।

    হ্যালো,হ্যালো আদিল…আদিল শুনছ?
    হ্যাঁ রত্না বলো, আমি শুনছি।
    আদিল তুমি কি এখন খুব ব্যস্ত?
    হ্যাঁ,কেন বলো তো?তোমার ভয়েস এমন উদ্বিগ্ন শোনাচ্ছে যে!
    আদিল আমার খুব বড়ো বিপদ।
    কী বলো! কী হয়েছে? আমাকে খুলে বলো সবটা।ভাগ্যিস আমাকে পেলে, এখনই একটা ওটিতে ঢুকতে যাচ্ছিলাম।আরেকটু পরে হলে আমাকে পেতেই না।
    সংক্ষেপে রত্না জানাল তার ইচ্ছের কথা।
    ১৪ই ফেব্রুয়ারি সকাল ৯.০০টা…
    কী ব্যাপার, আম্মু আজ এখনও ঘুম থেকে কেন উঠছে না!আম্মু তো সাধারণত এত বেলায় কখনই শুয়ে থাকে না।তাহলে আজ হলোটা কী!তাছাড়া বাসায় কোনো স্টুডেন্টও এল না!
    আম্মু,আম্মু,এ-ই আম্মু…
    আম্মু তোমার কী হয়েছে?আম্মু কথা বলছ না কেন? আম্মু,আম্মু ওঠো প্লিজ… প্লিজ আম্মু, আম্মু …
    হ্যালো, হ্যালো, হ্যালো আদিল আংকেল?তুমি কোথায়? আম্মু অজ্ঞান হয়ে বিছানায় পড়ে আছে।তুমি প্লিজ তাড়াতাড়ি আমাদের বাসায় চলে আসো…

    দুপুর ৩.০০টা…
    পিয়া করিডোরে পায়চারি করছে।আর আদিল-রত্না মুখোমুখি কেবিনে বসা।
    এইবার বলবে কেন এই নাটকটা তোমাকে করতে হলো?আমার চাকরি জীবনে, এই বয়সে এসে এমন মিথ্যে চাতুরী!ছি ছি… তা-ও আবার সন্তানতুল্য একটা বাচ্চার সঙ্গে!আজ যদি তৃষা বেঁচে থাকত তবে তো আমারও এমন একটা মেয়ে থাকতে পারত,নয় কী?
    আচ্ছা আদিল,তারপর তুমি কেন আবার বিয়ে করলে না ? তৃষা তো মারা গেছে সেও সাত-আট বছর হয়ে গেল।
    পারলাম না যে।
    কেন পারলে না?
    সেসব এখন বলতে ইচ্ছে করছে না।তাছাড়া তুমি বুঝবেও না। তুমি বরং আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।
    রত্না সবটাই সংক্ষেপে বলে গেল…
    এটা তোমার কাছে সমাধান মনে হচ্ছে?
    তাছাড়া মিথ্যে দিয়ে ওকে কয়দিন আটকাতে পারবে? হরমোনের গতি রোধ করতে হলে ওকে সত্যিটা বলে দাও।ওকে জানিয়ে দাও ওর জন্মের আসল ইতিহাস। মেয়েটা জানুক ওর বাবা আসলে মারা যায়নি।সে এখন চ্যানেলে চ্যানেলে মিথ্যে রাজনীতির ফুলঝুরি আওরে বেড়াচ্ছে।সংসদে গরম বক্তৃতা দিয়ে কুড়োচ্ছে দলের প্রশংসা!সময় এসেছে এইবার তুমি পিয়াকে সব আড়াল খুলে বের করে আনো।

    আদিল তুমি তো সবই জানো, পিয়া ছাড়া আমার যে আর কেউ নেই,কিচ্ছুটি নেই।ওকে আগলেই আমি আজও বেঁচে আছি।ওর মন ভেঙে গেলে মেয়েটা সামনের জীবনে মাথা উঁচু করে বাঁচবে কী করে? ওকে আমি এই ভারী ব্যথার ভার দিতে পারব না।
    তবে কি চাও মেয়েটা তোমার মতো জীবন বয়ে বেড়াক?
    না,কিছুতেই না!রত্না যেন আর্তনাদ করে উঠল।এটা হতে পারে না! এটা কোনো জীবনই না।আমি চাই না,পিয়ার জীবনেও এমন কোনো দিন আসুক।এ তো জীবন নয়,শুধু বয়ে বেড়ানো।যেন জীবনের সাথে গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে যাওয়া মৃত্যুর দিকেই…
    তাহলে আমার সাজেশন হলো মেয়েকে সব খুলে বলে দাও।আমার মনে হয় সত্য সুন্দর। মিথ্যেতে কিছু সমাধান হয় না। তাছাড়া কতদিন তুমি ওকে আটকে রাখতে পারবে?
    আংকেল আসব?
    ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল আদিল-রত্না!দু’জন এখন চোখ চাওয়া-চাওয়ি করছে।এই মুহূর্তে একজন যেন আরেকজনের চোখে আটকে গেছে।তবে কি পিয়া সব শুনতে পেয়ে গেল?
    হ্যাঁ,তোমরা ঠিকই ভেবেছ,আমি তোমাদের সব কথা শুনে ফেলেছি।অনেক ধন্যবাদ আংকেল এবং আম্মু তোমাদেরকে।তোমরা আজ আমাকে নতুন এক জীবন দিলে।
    আম্মু,আমি আর কোনোদিন তোমার মিথ্যে বলার কারণ হব না। আমার জন্য তোমাকে আর কখনো এমন মিথ্যে অসুস্থতার অভিনয় করতে হবে না।তবে একবার আমার বাবার নামটা শুধু বলবে?
    রত্না আতংকিত স্বরে আর্তনাদ করে উঠল!না না, কেউ তোর বাবা না। আমি, আমিই শুধু তোর বাবা, আমিই তোর মা। আমি তোকে একা এই পৃথিবীতে এনেছি।কেউ আমার সহযোদ্ধা ছিল না। রত্না এখন অঝোরে কেঁদে চলেছে…
    আর আদিল মাথা নিচু করে আছে নিজেকে আড়াল করতেই।
    আংকেল তুমি আমার একটা কথা রাখবে?
    হ্যাঁ, বল মা তোর কী কথা?
    আংকেল তুমি আমাদের সাথে থাকবে?আম্মুর যে তোমাকে বড্ড বেশি দরকার।
    আদিল এখন জড়িয়ে আছে পিয়াকে,রত্নার চোখ বেয়ে নোনা পানির গতিধারা বইছে…

    রাত ৯.০০টা
    পিয়ার কেনা ছোট্ট একটা কেকের সামনে আদিল-রত্না পাশাপাশি বসা। পিয়া আজ মাকে নিজ হাতে ওর লুকিয়ে কেনা লাল শাড়িটা পরিয়েছে।এটা সে-ই শাড়ি, যা পরে আজ পিয়ারও এক বিশেষ অভিজ্ঞতার সাথে পরিচিত হবার কথা ছিল।কিন্তু বিধাতা ওকে বাঁচিয়ে দিলেন। এবং এক অন্য রকম ১৪ই ফেব্রুয়ারির সাক্ষী করে রাখলেন। এর চেয়ে ভালো,আর স্পেশাল ভ্যালেন্টাইন ডে ওর জীবনে আর কোনোদিন আসতই না।আজ থেকে ওর জীবন সত্য দিয়ে শুরু হবে সত্যিকারের ভালোবাসার মানুষদের হাত ধরে… হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন ডে।

    প্রিয়তু শ্যামা
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Tumblr Email

    সম্পর্কিত লেখা

    পুনর্জীবনে ফিরে ॥ নাসরীন জাহান

    মার্চ ১৪, ২০২৫

    ঠাকুরমার কেটলিটা

    মার্চ ৭, ২০২৪

    যাও ফিরে বৃষ্টি ॥ তানিয়া নাসরীন

    ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪

    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    দৃশ্যান্তের পর ॥ মাজরুল ইসলাম

    নভেম্বর ২৪, ২০২৩

    লিওনেল মেসি ॥ প্রিতময় সেন

    নভেম্বর ৬, ২০২৩

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-মন্বন্তর: নাট্যচর্চায় বিজন ভট্টাচার্য ॥ তপন মণ্ডল

    আগস্ট ৫, ২০২৩

    বসন্ত রাগ ॥ কালিদাস ভদ্র

    জুলাই ১৬, ২০২৩

    একাকীত্বের সব দহন তোমাকে দিলাম ॥ দীপংকর গৌতম

    জুলাই ৪, ২০২৩
    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    Don't Miss

    পুনর্জীবনে ফিরে ॥ নাসরীন জাহান

    ছোটগল্প মার্চ ১৪, ২০২৫

    ফিসফিস ধ্বনি, এই বাড়িডা না? ধুস আওলা ঝাউলা লাগতাছে… লোকটার দুই পা ফেটে রক্ত ঝরছে।…

    জীবিত ও মৃত: রবীন্দ্রদৃষ্টিতে সমাজে নারীর অবস্থান ॥ জান্নাতুল যূথী

    জানুয়ারি ২১, ২০২৫

    বামিহাল সাহিত্য পুরস্কার-২০২৪ পাচ্ছেন ৭ জন

    ডিসেম্বর ২১, ২০২৪

    চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার গ্রহণ করলেন ৪ গুণীজন

    ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪

    Subscribe to Updates

    Get the latest creative news from SmartMag about art & design.

    সম্পাদক: জান্নাতুল যূথী ইমেইল: jannatuljuthi646@gmail.com

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.