ভেঙে যাওয়া নক্ষত্রের আলো
বিচ্ছুরিত নীহারিকার মত
সম্পর্কটাও বেশ অদ্ভুত,
একেবারে নীল বিন্দু হয়ে জ্বলে…
শত সহস্র শব্দের সাথে—
জমে ওঠা স্বেদবিন্দুগুলো রক্তের
প্রবাহে শব্দময় হয়ে ওঠে ।
ইচ্ছা ও পরিতৃপ্তির জন্য কত
আনন্দই জাগিয়ে তোলে,
অহরহ জীবনের ওপর মুখোশ
পরিয়ে গেছে।
সবই যেন নিরর্থক,
স্বাধীন ইচ্ছেগুলোর সাথে দুঃখের
আভাসের কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই।
অনন্ত ও স্থাপিত এই বাঁধন থেকে
মুক্তিও নেই, অনাসক্তিও নেই,
অশেষ কষ্টের সাথে মনের যুক্তিগুলো যদি
অসঙ্গ হয়ে অন্ধকারের প্রতীক হয়ে যেতো…
সারিতে সারিতে আলোর দৃশ্যগুলো এখন
অপাঙ্ক্তেয় হয়ে ঘোরে ,
ভাবাবেগে নিঃশ্বাস নিয়ে যাই,
মোহ বাঁধন আনন্দ ও যন্ত্রণারও
অন্ত নেই,
গন্ধহীন ছাতিমের গুঁড়ি বেয়ে
উদাসী শব্দ ঝরে আসে…
ভেঙে যাওয়া নক্ষত্রের আলো,
বিবেকের নথিপত্রগুলোর সাথে
একত্রে জড়ো করে শূন্যে নিক্ষেপ
করে যাই,
কত অবিচ্ছেদ্য শর্ত ও নিষ্ঠুর নৈবেদ্য ঢেলে
কত রক্ত ঘাম বাসনা ভেসে শ্বাশত অশ্রুর মতো
অন্তরে প্রবেশ করে গেছে।
নির্বিরোধ প্রতিবাদ
রাত্রির নিঃসঙ্গ আলিঙ্গন
যেন সর্বাঙ্গে মিশে থাকে,
নিষ্ফল প্রতিবাদই ছিল
নিত্য রাত্রির প্রতিশ্রুতি…
নিবিড় আধাঁর ঘনিয়ে দৃষ্টিবিভ্রম
হয়,
সত্যকে গোপন করে প্রবঞ্চিত
করে যায়।
বহনের প্রেরণের জন্য এই প্রদেয়
আর প্রয়োজন নেই,
সময়টাও বেশ নিথর আর ক্ষমাহীন,
দীর্ঘ পথ ভেঙে অতঃপর ফিরে
যেতে চাই সময়ের পথে।
বৃষ্টি-ভেজা চোখে হারানো শৈশবের
দিনগুলো কিঞ্চিত বিস্মৃত করে যাই।
লুপ্ত শঙ্কা ও বিচ্ছিন্ন স্বপ্নের মাঝে
কুয়াশার চাদর ভেঙে সূর্যের সাথে
আবার যদি দেখা হয়,
ভাবনার শূন্য অজুহাতে লেখারও
আর ইচ্ছে নেই,
উল্কা খন্ডের মত আবদ্ধ হয়ে পড়ি,
লেখনীতে যখন উৎকৃষ্ট শব্দের সাথে
অবয়ব শব্দ গঠন করে,
শিল্পিত ভাব ও কবিতায় ছন্দের কথা
অপার সুশোভিত পঙ্ক্তি মিশিয়ে শুধু দুঃখ
ও আতিশয্যে গাম্ভীর্যের মাঝে পথ ও পথের
সাথে স্বকীয় শব্দের অভিন্নত্বে শুধু কবিতা
আনয়ন করে যায়।।
বর্ণহীন রঙ
নিবর্ণী রঙ এতটাই দুর্বল যে পুরুষালি নয়,
না উষ্ণ না শীতল,
বৃদ্ধ বয়সের মতন মর্যাদায় প্রতীক হয়ে রয়।
রঙ পাল্টে যাচ্ছে সময়টাও দ্রুত ফুরিয়ে আসছে।
একদল মানুষ খাঁটি অন্ধকারে অক্লেশে অমরত্বের
স্বপ্ন দেখে আসছে।
বিনয়ী সহনশীল হিত-ইচ্ছুকদের বুঝি আর ঠাঁই নেই,
চতুর্দিকে এত আস্থা,
দাঁতে দাঁত চেপে বলতে ইচ্ছে করে…
সত্য পরিক্ষীত কোনো যুক্তি নেই,
দৃঢ়তার সাথে অগাধ আস্থাকে প্রশ্ন করে যাই,
আঠারো মাসে এখন বছরটা পেরিয়ে গেছে,
অন্ধের কিবা রাত্রি কিবা দিন আছে,
অন্ধের মতন শুধু ব্যক্তিপূজা গোঁড়ামিরও একদম
শেষ নেই…
ঝকঝকে মুখোশ, একমুখে বিভিন্ন কথা,
কি অভ্রান্ত কিবা সত্য,
নিষ্ঠার প্রতি নিত্য ও নৈমিত্তিক কাজে
অন্ধ কুলাচারে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
ধ্বংসের দিকে এগিয়ে, পিণ্ড ফুলিয়ে কত
কুতার্কিক ধন্দ ছড়িয়ে যাচ্ছে,
উদ্বাস্তুর পিঁপড়ের মতো সেই একই পূর্বাভাস,
শুধু শুধু বিবর্তিত জীবন ও সময…
মনে থাকে শুধু মরচে ধরা লেখা,
আর উঁচু পাড়ে ঘনদৃশ্যের শোভা,
ছায়াভরা অশলীলী রূপ একদিন
প্রায় মুছে যাবে।।